সবচেয়ে আনন্দে কাটানোর মতো যদি কোনো ঋতু থাকে তা হলো শীতকাল। শীতকালীন ছুটির আমেজ থেকে শুরু করে স্টাইলের বাহার- সবকিছুই খুব উৎসবমুখর লাগে। এই সময়ে ফ্যাশনেবল ড্রেসের যে কম্পিটিশন শুরু হয় তা দেখার মতো। শপিং প্রেমিকদের জন্য এই ওয়েদার একটি বাহানাই বলা চলে। বাংলাদেশের মানুষজনের সিংহভাগই ওয়েস্টার্ন ফ্যাশনপ্রিয় হওয়ায় বোধহয় শীত এলেই দেখা যায় চোখ জুড়ানো ফ্যাশনের বাহার।

এটা আমি আপনি সবাইই তো জানিই। আমি আবার কেন বললাম? এইটাই জানান দেবার জন্য, যে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে শীতকাল কুয়াশার সাথে সাথে আপনাকে এনে দেয় ব্যবসা আগানোর বিরাট বড় সুযোগ। সেটা আপনি যেটা নিয়েই ব্যবসা করেন না কেন, শীতকালে চাহিদা আছে এমন প্রোডাক্ট হলেই কিন্তু হয়ে যাচ্ছে। ক্লোথিং এর মধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটশার্ট, মাফলার, অথবা মেকআপ কিংবা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট, সাথে বিয়ের শেরওয়ানি, লেহেঙ্গা, জুয়েলারি আরও কত কি! লিস্ট কিন্তু বিশাল। আবার যদি ক্লোথিং এর বাইরেও শীত রিলেটেড প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ডিমান্ড থাকে তাহলে তো একদম পিক লেভেল প্রফিট নিশ্চিত।

যেমন? এইতো গত শীতের কথাই যদি বলি! বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটে কম্বলের চাহিদা, সাইজ আর কোয়ালিটির উপর বেজ করে হোলসেলে বিক্রি হয় ৩০০ থেকে একেবারে ৮০০০ টাকা পর্যন্ত মূল্যে! তাই লোকাল মার্কেট থেকে অনেক ব্যবসায়ীরা হোলসেলে কিনে থেকে। সেদিকেও আবার বিক্রেতাদের লাভ চরম মূল্যে। লাভটা তবে কিভাবে?

মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই যে বাংলাদেশে হোলসেল বিক্রেতারা যেই দামে বিক্রি করছে, সেই পণ্যগুলোর অধিকাংশই তারা সোর্সিং করে চায়না হোলসেল মার্কেট থেকে। স্বল্প মূল্যে সোর্সিং, রিজনেবল প্রাইস রেঞ্জ, কালেকশনের বাহার- এ সমস্ত সুবিধাগুলো মূলত চায়নারাই বাংলাদেশকে প্রদান করে থাকে বিধায় যেকোন কিছু আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ চায়না মার্কেটের উপরই নির্ভরশীল বলা যায়। এবং অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, যেই কম্বলটি মার্কেটে ২ হাজারের উপরে সেল দিচ্ছে, সেটিই তারা চায়না হোলসেল থেকে কিনে আনে মাত্র ৪০০-৬০০ টাকায়!!!

লাভ আসলে হোলসেল থেকে কাস্টমারদের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যেই ঘটে। গত বছর সেই উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড় থেকে আগত এক ব্যবসায়ীর ভাষ্যমতে, ছোট কিংবা পাতলা কাপড়ের দাম ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। আবার মোটা কাপড়গুলোর দাম বেড়েছে ১০০- ১২০ টাকা! যদি সেই হোলসেলার বিক্রেতাটি ২০০ টাকা মূল্যে প্রতি পিস কাপড় কিনে থাকে তাহলে কাস্টমারদের নিকট সেই দাম চলে যায় ৬০০- ৭০০ টাকায়।

কি, বুঝলেন তো?

এত লাভের বাজারে আপনি যদি একটু স্মার্ট স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার না করেন, তাদেরকে টেক্কা দিয়ে মার্কেট ধরা প্রায় অসম্ভবই হবে।

যদি আপনি নতুন ব্যবসায়ীও হয়ে থাকেন, তবে আপনার জন্য ছোট্ট একটি টিপস- এই শীতে বেশ কিছু প্রোডাক্টের চাহিদা মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে যায়। যেমন, শিশুদের ও বয়স্কদের শীতবস্ত্র, স্নিকারস, মাফলার, জ্যাকেট, ট্রেন্ডি সোয়েটশার্ট, ট্রেন্ডি বুট জুতা আর কত কি! এর মধ্যে যেকোনো প্রোডাক্ট নিয়ে শুরু করুন আপনার নিজের ব্যবসা।

কেন MoveOn?

MoveOn সবসময় চায় আপনারা, উদ্যোক্তারা উপভোগ করুন ব্যবসায়িক বাড়তি সুবিধা। সেই কারণে বিভিন্ন ডিস্কাউন্ট অফার থেকে শুরু করে শিপিং অফার দিয়ে থাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রোডাক্টের উপর। তাই জামা জুয়েলারি কিংবা জুতা যেটাই বলেন বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট সোর্সিং শুরু করে ফেলুন সেরা হোলসেল প্রাইসে! আবার প্রতি কেজিতে লোভনীয় শিপিং অফার আসলে মিস করার মতো একদমই না! শীত কিংবা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অফারগুলো যে পাচ্ছেন সেগুলোকে সঠিক সময়ে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্যবসাটিকে এগিয়ে নিন! জমজমাট ব্যবসা কে না চাই? অফারগুলো লুফে নিয়ে আপনার ব্যবসায়ের মন্দা অবস্থাকেও টানতে পারবেন সহজেই।

কি? আজই শুরু করছেন তো নিজের ব্যবসা? ধুমধাম ব্যবসা করুন। শুভকামনা সকলকেই। পাশে থাকুন MoveOn এর।

Do Business, Forget Borders.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here